বেআইনীভাবে আধার কার্ড তৈরীর অভিযোগে আটক যুবক , তদন্তে পুলিশ

27th June 2021 9:26 am বাঁকুড়া
বেআইনীভাবে আধার কার্ড তৈরীর অভিযোগে আটক যুবক , তদন্তে পুলিশ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বেআইনীভাবে আধার কার্ড তৈরীর অভিযোগে এক যুবককে আটক করলো পুলিশ। ধৃতের নাম সজল পাঁজা। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার মড়ার গ্রামের ঘটনা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সোনামুখী থেকে সজল পাঁজা নামে এক যুবক শনিবার মড়ার গ্রামে আসে। ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বিনিময়ে গ্রামের মানুষের আধার কার্ড তৈরীর কাজ শুরু করে। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মড়ার গ্রামের ভিলেজ পুলিশ হান্নান খানের সাহায্যে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ঐ যুবককে গ্রেফতার করে। একই সঙ্গে আধার কার্ড তৈরীর প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে বলে জানা গেছে।

আশপিয়া মণ্ডল নামে এক মহিলা বলেন, ভোটার কার্ড, আধার কার্ডের জেরক্স, পঞ্চায়েত প্রধানের শংসাপত্র ও ৭০০ টাকার বিনিময়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে গ্রামে আসা ঐ যুবকের কাছে আধার কার্ড করাই। এর আগে একাধিকবার নানান জায়গাতে চেষ্টা করেও তাঁর আধার কার্ড না হওয়ায় এখানে তিনি লাইনে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান।

ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে পুলিশও। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান বলেন, সোনামুখীর বাসিন্দা সজল পাঁজা নামে এক যুবক টাকার বিনিময়ে জালি আধার কার্ড তৈরীর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।


 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।